বৃহস্পতিবার প্যারিস নগর ভবনের পূর্বদিকে অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরটি স্থাপন করা হয়েছিলো৷ শুক্রবার ২৫ শে জুন তা সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ৫৬০ জন মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী শিবিরে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেক গৃহহীন পরিবার ছিল যারা মূলত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে। এছাড়া অনেক অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলো, যাদের আবেদন প্রথম দফায় নাকচ হয়ে আদালতে আপিল পর্যায়ে আছে।
এই অস্থায়ী শিবিরটি স্থাপনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন ইতুপিয়া৫৬-এর প্যারিস শাখার পরিচালক ক্যারিল থেওরিয়া অস্থায়ী শিবির থেকে অভিবাসীদের দায়িত্ব নেয়ায় খুশি হলেও বিষন্ন মনে বলেন, ‘‘এই ধরনের আন্দোলন চালিয়ে বাসস্থানের ব্যবস্থার আগেও কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা কর্তৃপক্ষকে রাস্তায় থাকা পরিবারগুলোর পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সতর্ক করেছি। আসলে গৃহহীন এবং সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসীদের অভ্যর্থনার বিষয় নিয়ে জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার অভাব আছে৷’’
তিনি আরও বলেন, “বাসস্থানের ব্যাপারে প্যারিসের নগর কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে তারা দু’টি জিমনেশিয়াম ভাড়া করেছেন। মূলত সরকারের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ৷’’
“দরকার টেকসই সমাধান”
প্যারিস নগর কর্তৃপক্ষের বাসস্থান বিষয়ক কাউন্সিলর ইয়ান ব্রোসে জানান, “আমরা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকারের সাথে কাজ করতে চাই। প্রথমে যেসব ভবন খালি পড়ে আছে সেগুলো দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।” আন্দোলনকারী অভিবাসীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এত খালি ভবন পরে আছে আর এত মানুষ রাস্তায় ঘুমাবে এটি কেউই মেনে নিতে পারে না ।”
এবারের আন্দোলনটিও কালেক্টিভ রিকুইজিশনের বাসস্থানের জন্য চলমান আন্দোলনগুলোর একটি। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বেশ কয়েকটি সংস্থার সম্মিলিত এই উদ্যোগের ফলে অন্তত ২,৭০০-এরও বেশি অভিবাসীর থাকার ব্যবস্থা হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার নগর ভবনের সামনে অস্থায়ী ক্যাম্পটি করার আগে ইতুপিয়া৫৬ সংস্থা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রেফেকচুরকে রাস্তায় থাকা পরিবারগুলোর বাসস্থানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সতর্ক করে যাচ্ছিলো কিন্তু কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
সুত্র :ইনফোমাইগ্রেন্টস